MASIGNCLEAN101

মনিবের মেয়ে। পর্ব ০৩ । ভালোবাসার গল্প । Love Story

ভালবাসার গল্প, Love Story,ভালোবাসার গল্প,ভালোবাসা,ভালবাসা,valobasar golpo,রোমান্টিক গল্প

সে যেটা করছে সেটা কি ঠিক হচ্ছে? এটা তো নুন খেয়ে নুন হারামি করা হচ্ছে। যেই কাকা কাকি তাকে ছেলের মত ভালোবাসে সেই কাকা-কাকির মেয়েকে ভালোবেসে ফেলাটা কি ঠিক হচ্ছে? নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করে আয়ান। নাহ এটা ঠিক নাহ। নিজেকেই নিজে বলে আয়ান৷ সে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে সে আর অবন্তির দিকে ভালোবাসার কোন দৃষ্টিতে তাকাবে না৷ সে প্রতিজ্ঞা করে এখন থেকে সে অবন্তির দিকে বোনের দৃষ্টিতে তাকাবে। তার দ্বারা কখনোই সম্ভব না অস্রয় দ্বাতার বাড়িতে এসে আশ্রয় দ্বাতারই সর্বনাস করা। ভাবতে ভাবতেই সে লক্ষ করে কে যেনো তার দরজার পর্দার আড়ালে বসে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছে। সে যখন কে বলে ডাক দেয় তখনি যেনো ছায়াটা সরে যায় সেখান থেকে। সে বুঝতে পারে এটা কে হতে পারে? এটা অবন্তি ছাড়া আর অন্য কেও না। 


কিচ্ছুক্ষন পর অবন্তি আবার আসে। এবার আর লুকিয়ে দেখেনা। সরাসরি আয়ান এর রুমে ঢুকে এবং আয়ান কে বলে এই যে মিস্টার আপনাকে দুপুরের খাবার খেতে ডাকছে।
-- আমাকে এইযে মিষ্টার এই যে মিস্টার না বলে নাম ধরে ডাকতে পারো। আমার নাম আয়ান। 
-- ওহ আচ্ছা। কিন্তু আপনি আমার বড়। তাই নাম ধরে ডাকাটা ঠিক হবে না।
-- তাহলে ভাইয়া বলে ডাকতে পারো। 
-- পারবোনা৷ 
-- কেনো?
-- জানিনা৷ কিন্তু আপনাকে ভাইয়া বলতে পারবো না। 
-- ভাইয়া বললেই তো আর মায়ের পেটের ভাই হয়ে গেলাম না তাইনা...?
-- তাও ঠিক। 
-- আচ্ছা তাহলে মিস্টার ভাইয়া বকে ডাকবো কেমন...?
-- As Your wish
-- বাব্বাহ ইংরেজীও বলতে জানেন...?
-- কেনো কি মনে হয়...?
-- নাহ শুনলাম ইংরেজী তে ফেইল করেছেন। আবার ইংরেজী বলতেছেন। আমি তো ভেবেছিলাম আপনি মনে হয় ইংরেজীতে গোবর গনেষ। 
-- হয় তোমাকে বলছে। হয় রোল রেজিস্ট্রেশন এ ভুল হয়েছে। তাছাড়া তো ইংরেজীতে কিছুনা হলেও A+ আসার কথা। 
-- খুব ইংরেজী পারেন তাহলে..?
-- হা পারি তো৷ 
-- তাহলে আমি তোমাকে ভালোবসি এর ইংরেজি টা বলেন শুনি...?
-- I Love You...
-- কিহ আপনি আমাকে I Love You বললেন। ছি ছি 
-- এই আমি তো ইংরেজি বললাম। 
-- জ্বি নাহ আপনি আমাকে বললেন I Love You...
-- আরেহ নাহ সত্যি আমি শুধু ইংরেজি টা বললাম। আমি বলার কারণ হলো আমি না বললে আপনি অন্য কিছু ভেবে ফেলতেন । তাই আমি বললাম৷ 
-- বাব্বাহ। আপনি তো অনেক ভিতু। 
-- মানে?
-- আমি তো মজা করছিলাম। 
-- বাবাহ আমি তো ভয় পেয়ে গেছিলাম। 
-- ভিতুর ডিম একটা। 


এই কথা বলে অবন্তি মুচকি সেই হাসিটা দিয়ে বের হয়ে চলে যায়। আয়ান আবার ক্রাস খায়। কিন্তু সে আবার নিজেকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করে। এরপর সে দুপুরের খাবার খেতে ডাইনিং টেবিলে বসে।এবং আয়ান বসার পর অবন্তি এসে আয়ান এর সামনের চেয়ার টা দখনবকরে নেয়। এরপর তারা খাওয়া শেষ করে। আয়ান খেয়াল করছিলো অবন্তি বার বার ওর দিকে আড় চোখে তাকাচ্ছিলো। কিন্তু সে দেখেও না দেখার ভান করে চুপচাপ খাওয়া শেষ করে। খাওয়া শেষ হলে আয়ান গিয়ে ঘুমানোর জন্য শুয়ে পড়ে। এবং শুয়ে থাকতে থাকতে কখন যেনো ঘুমিয়ে যায় বুঝতে পারে না। 


এদিকে অবন্তিও যেনো খুব দুর্বল হয়ে পড়েছে আয়ানের প্রতি। অবন্তি খাওয়া দাওয়া শেষ করে গিয়ে বসেছে ড্রেসিং টেবিলের সামনে। আজকে যেনো যে নিজেকে অন্য ভাবে দেখছে। সে কখনোই নিজের চেহারা টা সুন্দর কিনা কেও ওকে দেখলে পছন্দ করবে কিনা ভাবে নি। অথচ আজ নিজেই নিজেকে দেখছে সে দেখতে সুন্দর কিনা৷ অবন্তি স্কুলের প্রায় সবারই ক্রাশ। কিন্তু সে প্রেম ভালোবাসা এগুলো কখনোই বিশ্বাস করতো না৷ সে কখনোই প্রেম ভালোবাসার নাম শুনতে পারতো না। অথচ আজ সে যেনো কোন একজনের প্রেমে পড়ে যাচ্ছে। অনেক প্রপোজাল পেয়েছে সে স্কুল জীবনে কিন্তু সে এগুলা খুব ঘৃনা করতো৷ অবন্তি নিজের অজান্তেই কপালে টিপ দিয়েছে টোটে হালকা লিপিস্টিক। আর দেখছে তাকে দেখতে কেমন লাগছে। একটু পর নিজেকে দেখে নিজেই লজ্জা পেয়ে গিয়ে বিছানায় উপর হয়ে শিয়ে ভাবতে থাকে আয়ানের কথা। ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে যায় অবন্তি৷ 


দুই ঘন্টা পর কিছু সময় আগে পিছে ঘুম ভেঙে যায় তাদের। আগে অবন্তির ঘুম ভেঙে গেলে অবন্তি গিয়ে আয়ানকে ঘুম ডেকে তুলতে গেলে ঘুমন্ত আয়ান কে দেখে ক্রাশ খায় । কি নিস্পাপ চাহারার মত চেহারা। অনেকক্ষন তাকিয়ে থাকে সে আয়ানের দিকে। হঠাৎ আয়ান ঘুম ভেঙে দেখে কেও একজন তার দিকে তাকিয়ে আছে। চোখ দুটি একটু ডলা দিয়ে দেখে অবন্তি ঘাটের স্টান্ড ধরে দাঁড়িয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।আয়ান বলে উঠে
-- কি দেখছো?
- ককই কিছু না তো? ( কিছু টা লজ্জা পেয়ে অবন্তি বলে) 
-- ওহ আচ্ছা। ( আয়ান আর কথা বাড়ায় না ) 
- তাড়াতাড়ি উঠে রেডি হন। আম্মু আর আমি আপনাকে নিয়ে শপিং এ যাবো। 
-- আচ্ছা।  
- হুম। ( এই বলে অবন্তি চলে যায় ) 


এরপর অবন্তি গিয়ে ওর আম্মুকে বলে রেডি হতে বলে নিজেও রেডি হতে যায়। আজ যেনো অবন্তির রেডি হওয়া শেষই হচ্ছে না। এতদিন কিভাবে রেডি হয়ে কোথায় গিয়েছে ঠিক ছিলো। কিন্তু আজ যেনো অবন্তির মনে হচ্ছে তাকে খুব সুন্দর করে সাজতে হবে। কেনো যেনো আজ তার স্পেশাল মানুষের জন্য স্পেশাল করে সাজতে ইচ্ছে করছে। এর মধ্যেই অবন্তির আম্মু অনেকবার ডেকেছে তাকে। কারণ এর এর আগে কখনোই ওর আম্মু ওর আগে সাজতে পারেনি৷ কোথাও গেলে ওর আম্মুর আগে ও সেজেগুজে ওর আম্মুকে শুধু তাড়াতাড়ি শেষ করতে বলতো৷ অথচ আজ যেনো পুরো বিপরিত টা ঘটে চলেছে৷ কিন্তু আজকেই প্রথম তো তাই ওর মাও বিষয়টা সাভাবিক ভাবেই নিয়েছে৷ অবশেষে অনেক সময় এর অবসান ঘটিয়ে সাজা শেষ করলো অবন্তি। যাইহোক অনেক কষ্টে অনেক সুন্দর করে সেজেছে অবন্তি। কিন্তু আয়ান এর সামনে যেতে কিছুটা লজ্জা পাচ্ছিলো। কারণ ওর আয়ানের প্রতি দুর্বলতা কাজ করছে। 


এরপর তারা মার্কেট এ গেলো। অনেল কেনাকাটা করলো। আয়ান এর জন্য । এবং অবন্তিও একটা ড্রেস নিলো। আয়ান এর পছন্দ করে দেওয়া৷ এবং কেনাকাটা শেষে অবন্তি বায়না ধরে ফুসকা খাবে৷ কিন্তু অবন্তির আম্মু কিছুতেই রাজি হয়না। কারণ অনেক দেরি হয়েগেছে। অবন্তির আম্মু তাড়াতাড়ি বাড়ি গিয়ে হাতের কাজ করে তাড়াতাড়ি রান্না করতে হবে৷ তাই তিনি এখন ফুসকা খেতে যেতে পারবেন না। কিন্তু অবন্তিও যেনো ছোট মানুষের মত বায়না ধরে বসেছে। সে ফুসকা খাবেই। পরে ওর আম্মু আয়ানকে বলে ওকে গিয়ে ফুসকা খাওয়াইয়া বাসায় নিয়া আসতে৷ তিনি দেরি করবেন না৷ এবং এই কথা বলে তিনি বাসায় চলে যান৷ এদিকে অবন্তিও মনে একটু একটু খুশীই হয়৷ এরপর সে আয়ান এর সাথে ফুসকা খেতে যায়৷ এর পর ফুসকা খায় অনেক গুলা। এবং ঝালেও তার অবস্থা খারাপ হয়ে পরে৷ সেখান থেকে এসে কোন রকম একটা রিকশা ধরে বাড়ির দিকে আসার জন্য। রিকশায় উঠে সে অনেক কাতারাতে থাকে ঝালে। এক পর্যায়ে সে মুখ হা করে আয়ানকে হাতের ইসারা দিয়ে বলে ফু দিতে। এখন আয়ান বাধ্য হয়ে ফু দিতে থাকে। এবং ফু দিয়ে খুব তাড়াতাড়ি সাভাবিক হয় অবন্তি। এবং সাভাবিক হলে আয়ানকে বল, 
- ধন্যবাদ। 
-- ধন্যবাদ কেনো?
- এইযে আমাকে ঝাল কমাতে সাহায্য করলেন। 
-- আয়ান মিন মিন করে বলছিলো রাক্ষসি একটা। 
- কি আপনি আমাকে রাক্ষসি বললেন?
-- কই নাহ তো। 
- নাহ আমি স্পষ্ট শুনেছি। 
-- নাহ আমি রাক্ষসি বলিনি তো। 
- নাহ আপনি আমাকে রাক্ষসি বলেছেন। 
-- আরেহ কি মুসকিল। 
- আমাদের বাসায় থেকে আমার বাবার খেয়ে আমাকেই রাক্ষস বলেন আপিনার সাহস তো কম না। 
-- আয়ান কথাটা শুনে কিছুটা হার্ট হয়। আর নীরব হয়ে থাকে। কিছু বলে না। 
- কি হলো চুপ কেনো? ( অবন্তি কিছুটা রেগে গিয়ে। কারণ ঝালে এমনিতেই তার মাথা ঠিক নেই। আবার সে একটু তেই রেগে যায়। আর রাগে কাকে কি বলে ঠিক নাই। এবং পরে নিজেই তার থেকে বেশী কষ্ট পায়) 


অবন্তির ওই কথাটার পর দুজনেই নীরব হয়ে যায়। আয়ান অনেক কষ্ট পায় কথাটাতে। কিন্তু অবন্তিও ইচ্ছে করে বলেনি৷ সে ঝালের কারনে এখনো বুঝতে পারেনি সে কি বলেছে আয়ানকে। একসময় তারা বাসায় পৌছে যায়। আয়ান কিছুটা মন খারাপ নিয়েই গিয়ে গিয়ে রুমে ঢুকে। এদিকে অবন্তিও ওর আম্মুর কাছে দৌরে গিয়ে হা করে ওর আম্মু কে ফু দিয়ে দিতে বলে। ছোট থেকেই এটা তার অভ্যাস। ঝাল লাগলে আম্মুর কাছে দৌ ড়ে গিয়ে হা করে। এর পর ওর আম্মু ফু দিয়ে দিয়ে ঝাল একদম কমেগেলে সে রুমে যায়। গিয়ে সে মনে করার চেষ্টা করে সে হঠাৎ কেনো আয়ান এর মন খারাপ হয়ে গেছে। এবং এক পর্যায়ে তার মনে পড়ে যায়। তার মনে পড়া মাত্রই সে বুঝতে পারে কথাটা বলা তার একদম উচিৎ হয় নি৷ সে ততক্ষনাৎ Sorry বলার জন্যে আয়ান এর রুমে গেলে দেখে রুম এর ভেতর থেকে দরজা লক করা। সাধারণত এর আগে কখনোই আয়ান ভেতর থেকে নক করেনি। কিন্তু আজ হঠাৎ করলো। অবন্তি বিষয় টা বুঝতে পেরে অনেকবার নক করে। কিন্তু আয়ান কোন রেসপন্স করে না৷ অবন্তি অনেক নক করার পরও যখন বুঝতে আয়ান দরজা খুলবে না তখন সে নিজের ঘরে চলে যায়। গিয়ে সেও বিছানায় গিয়ে মন খারাপ করে শুয়ে থাকে। এক পর্যায়ে আবার ঘুমিয়ে যায় অবন্তি। 


এদিকে অবন্তির কথাটা অনেক ভাবাচ্ছে আয়ান কে। আসলেই তো আয়ান কেনো এমনিতেই এই বাড়িতে থাকবে? কেনো বসে বসে খাবে সে? এই বাড়ির লোকজন তো আয়ান এর রক্তের কেও না। আর যেখানে মা-বাবাই যায়গা দেয় না সেখানে অন্য মানুষ কেনো যায়গা দিবে। ২/১ দিন হয়তো ভালো ব্যাবহার করবে। পরে? সারাজীবন কি কেও বসে খাওয়াবে? ভাবতে থাকে কি করবে সে? কি করতে পারে ? একটা খুব দুশ্চিন্তায় পরে যায় আয়ান। ভেবে পায় না কি করবে সে? অনেক চিন্তা ভাবনা শেষে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হয় সে। চিন্তা করে রাতে খাবার টেবিলে কিথাটা তুলবে সে। তারপর শুয়ে আরো অন্যান্য বিভিন্ন কথে ভাবতে থাকে আয়ান। 


পেরিয়ে যায় অনেকটা সময়। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হয়ে যায়। অবন্তির আব্বুও আজ তাড়াতাড়ি চলে এসেছে । যেদিন কাছে ট্রিপ থাকে সেদিন তাড়াতাড়ি চলে আসেন। তিনি খুব কমই দুরের ট্রিপ মারেন। আজকে তাড়াতাড়ি হয়ে গিয়েছে। তাই তাড়াতাড়ি চলে এসেছেন৷ রাত হয়ে গিয়েছে। সবাইকে তিনি ডেকে নিয়ে খেতে বসেছেন। আয়ান ও বসেছে তাদের সাথে খেতে৷ খেতে খেতেই আয়ান কথা শুরু করে
- কাকা আমার কিছু কথা ছিলো। 
-- কি কথা?
- কাকা আপনি কি একলাই গাড়ি চালান। 
-- হুম এখন একলাই৷ কিছুদিন আগে একজন ছিলো সে একদিন টাকা পয়সা নিয়া পালাইছে। 
- কাকা আমি আপনার সাথে গাড়িতে যাবো। 
-- কি বলো না বলো। 
- জ্বি কাকা৷ 
-- আরেহ নাহ তোমার গাড়িতে যাওয়া লাগবো না। 
- নাহ কাকা। তাছাড়া কি করে খাবো। কোন কাজ তো একটা করাই লাগবে। 
-- তা ঠিক। কিন্তু তুমি কাজ করবা কেনো? 
- তাহলে কি করবো আমি?
-- চাকরি করবে?
- নাহ কাকা বর্তমান সময়ে ভালো চাকরি আমার জন্য নাহ৷ আমার কোন একটা কর্ম করা লাগবে। 
-- তোমার চাচি কইতেছিলো তুমি নাকি আমার মা ( অবন্তি ) কে পড়াইবা?
- হুম চেয়েছিলাম। কিন্তু শুধু ওকে পড়ালে আমার হবে না। পাশাপাশি আমার কর্ম করতে হবে। 
-- আচ্ছা তুমি আরেকটু ভাবো। হুট কইরা কিছু করন ভালা না৷ 
- আমি অনেক ভেবেই এই ডিসিশন নিছি কাকা। 
-- আচ্ছা এবার আমারে একটু ভাবতে দেও৷ 


ওদের কথার মাঝে অবন্তি হুট করেই বলে উঠে আমি আর খাবো না। ওর আম্মি আব্বু সুজনেই জানতে চায় কেনো খাবে না সে?সে কোন কথা বলে না৷ অবন্তির আব্বু আম্মু কিছুটা আশ্চর্য হয়। কারণ তাদের মেয়ে এভাবে আজ প্রথম বললো খাবো না। অন্য দিন বলতো আম্মু আমার আর খেতে ইচ্ছা করতেছে না। বা আম্মু আমি আর খাবো না। এরপর অবন্তি গিয়ে দরজা দিয়ে বিছানায় উপর হয়ে শুয়ে মুখ বালিশের মধ্যে গুজে কাদতে থাকে। সে তো তখন আয়ানকে সিরিয়াসলি কথাটা বলেনি। তাহলে আয়ান কেনো সিরিয়াসলি নিলো বিষয়টা। সেতো বিষয়টাকে ন্যাকা ভাবে উপস্থাপন করতে চেয়েছিলো৷ 

Share This :
  আল-ফাত্তাহ্

আমি একটি সাধারণ পরিবারের, অতি সাধারণ ছেলে। লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি। এবং আরো ভালো লাগে যদি আমার লেখা পড়ে কেও উপকৃত হয়৷